বেকারত্ব দুর - সমৃদ্ধ আলোকিত জাতি গঠনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

আপনার একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট লাইন থাকলে, আর যদি কম্পিউটারে ন্যূনতম জ্ঞান থাকলে সহজেই আপনি সহজেই গুগলে সার্চ দিয়ে নিজকে অভিজ্ঞ করে অনলাইন আয় করতে পারেন।

এ যুগে ফেসবুক, টুইটার সহ ইনন্টারনেটের ধারনা না থাকা লজ্জ্বার বিষয়

আপনার ই-মেইল একাউন্ট নেই, বা ফেসবুক- ইউটিউবসহ সাইটসমূহে আপনার অংশ গ্রহন নাই, গুগল সা ইঞ্জিন বা গুগল সম্পর্কে জানেন না, এটা কি লজ্জার ব্যপার নয়। এখন সকল তথ্যই ইন্টারনেটে ফ্রিতে পাওয়া যায়।

পিসি বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট লাইন থাকে তাহলে আজই আয় শুরু করুন

আপনি যদি ফেসবুক, ইমেইল একাউন্ট থাকে এবং মোটামুটি টাইপ করতে পারেন, বিশ্বের খ্যাতনামা অনলাইন Odesk, Elance, Freelancer সাইট ইত্যাদি সাইটে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে, ফ্রিতে ইন্টারনেটে নিজকে যে কোন ১ বিষয়ে দক্ষ করে আজই বৈদেশিক মুদ্রা আয় শুরু করুন।

কথায় আছে – সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না

প্রতিজ্ঞা করি শুধু ফেসবুক ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় সাইটে সময় অপচয় না করে মূল্যবান সময়কে কাজে লা্গাই। শুধু এ জীবননয় অনন্ত কালের কবরের সামানা এখনই তৈরী করা শুরু করি।নামাজে পাবন্দি করি ও প্রতিটি চোখের পলকে জিকির ও ফিকিরে কাটাই।

IT Bd Soft (Anika Computer) একটি অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্থ IT ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান

আপনি আমাদের সংক্ষিপ্ত হ্যান্ড নোট /পিডিএফ ও ভিডিও টিউটোরিয়াল খুবই স্বল্প মুল্যে নিয়ে নিজে নিজে প্রাকটিক করে নিজকে দক্ষ ও যোগ্য করে তুলূন এবং তারপর আয় শুরু করতে পারবেন।

Monday, March 30, 2015

বুলেট টিপস - আউটসোর্সিং কাজ পাওয়া বিষয়ে

বুলেট টিপস - আউটসোর্সিং কাজ পাওয়া বিষয়ে

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ অনেকেই করছেন, আবার অনেকে নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছেন। অনলাইনে সহজে আউটসোর্সিংয়ের কাজ পেতে কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই চলে। নিচে সে রকম কিছু কৌশল দেওয়া হলো।
 অনেকেই যাঁরা চার-পাঁচটা কাজের (জব) জন্য আবেদন করেই জব (কাজ) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ ১০০টা আবেদন করেও জব পান না। এটা নির্ভর করে আপনি কত কম মূল্যে (রেটে) আবেদন করেছেন তার ওপর।
 যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড না সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে (ফ্রিল্যান্সার) ভাড়া বা হায়ার করতে হলে তার পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড থাকতে হয়।
 কোনো একটা জব পোস্ট করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো।
 আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে) থাকবেন ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো পোস্ট করার এক-দুই ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন করে জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া; আবার হঠাৎ করে কোনো ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন। যাতে বায়ার আপনাকে কোনো বার্তা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রত্যুত্তর দিতে পারেন।
 মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখবেন প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাক্টরের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো। কারণ বায়ার যদি এদের মধ্য পছন্দের কনট্রাক্টর পেয়ে যায় তাহলে আর অন্য কনট্রাক্টরের প্রোফাইল চেক করে দেখবে না।
 যেসব জবে শর্ত দেওয়া আছে এবং সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন তাহলে আবেদন না করাই ভালো।
 যাঁরা ওডেস্কে দুই-তিনটা কাজ করেছেন, এখন বেশি মূল্য হারে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে জবটিতে আবেদন করবেন সে জবের নিচে দেখুন বায়ারের আগের জবগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন বায়ার তাঁর আগের জবগুলোতে বেশি ডলার দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ করিয়েছেন, তাহলে আবেদন করতে পারেন। আর যেসব বায়ার আগের জবগুলোতে বেশি ডলারে কাজ করায়নি, তাদের জবে বেশি রেটে আবেদন না করাই ভালো।

-** জরুরী হক কথা - মানুষ মরনশীল। সত্যিই কি আমাদের দুনিয়ার এ জীবন ক্ষনস্থায়ী, অনন্ত অসীম পরকাল/আখেরাতের কামিয়াবী/সাফল্যের জন্য নিয়মিত সালাত আদায় করি ও সকলকে কালিমার/ইসলামের দাওয়াত দেই, নিজে পরিপূর্ন মুসলিম হই। আল্লাহ আমাদের খাঁটি মুমিন হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

সূত্র : মো. আমিনুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো।

Wednesday, March 18, 2015

“ইমেইল মার্কেটিং” এ অভিজ্ঞদের জন্য প্রধান ৫ টি

“ইমেইল মার্কেটিং” এ অভিজ্ঞদের জন্য প্রধান ৫ টি 

কর্মক্ষেত্র এবং আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ।

Habibur Ra     ahman Dipu

“ইমেইল মার্কেটিং” হল ইমেইল আদান-প্রদান এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবার বিপণন ব্যবস্থা । তারমানে, ইমেইল মার্কেটিং বা সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা হল মার্কেটিং-এর এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারের ইমেইলে কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবার বিবরণসহ পণ্য সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যাবলী প্রেরণ করা। যার ফলে কোম্পানির একদিকে যেমন বাড়ছে বিক্রয়ের পরিমাণ, তেমনি সম্প্রসারিত হচ্ছে তাদের সুনাম ও খ্যাতি। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও দিন দিন বাড়ছে ইমেইল মার্কেটিং-এর কাজ। মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্যানুযায়ী, ইমেইল মার্কেটিং এ একজন ফ্রিলান্সার মাসে আয় করছে লাখ টাকাও বেশী। আর তাই আপনার ক্যারিয়ার হিসাবে “ইমেইল মার্কেটিং” হতে পারে Best Choice ।


কাদের জন্য “ইমেইল মার্কেটিং”  জানা জরুরী

অনেকের ধারণা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় কিংবা অনলাইনে আয়ের জন্যই “ইমেইল মার্কেটিং”  জানা দরকার। আসলে ধারনাটি একদমই ভুল। এসব ছাড়াও আরো অনেক কাজের জন্য “ইমেইল মার্কেটিং” জ্ঞান থাকাটা খুব জরূরী। কারন, অল্পসময়ে বেশী প্রচারের একমাত্র মাধ্যম হল  “ইমেইল মার্কেটিং” ।
১। আপনি কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আর আপনার কোন নুতন প্রোডাক্টকে প্রচার করবেন
২। যারা স্টুডেন্ট  এবং যাদের পার্ট টাইম জব দরকার
৩। যারা গৃহিণী এবং বাইরে কাজ করার সুযোগ পাছেন না


“ইমেইল মার্কেটিং” শিখে আয় করতে পারবেন যেই কয়টি উপায়ে

১। পিএসডি ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করে আয়।

আপনি যদি দৃষ্টিনন্দন ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে গড়ে ৪০০-৬০০ ডলার আয় করতে পারবেন ।
২। এইচটিএমএল ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করে আয়।

যদি আপনি এইচটিএমএল দিয়ে ইমেইল টেম্পলেট এবং পিএসডি টু এইচটিএমএল ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে গড়ে ৫০০-১০০০ ডলার আয় করতে পারবেন ।
৩। ইমেইল কনটেন্ট  রাইটার হিসেবে আয়।

রাইটারদের চাহিদা মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি। আপনি যদি ইংলিশে ভাল লিখতে পারেন তাহলে ইমেইল কনটেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করলে আপনি মাসে গড়ে ২০০-৫০০ ডলার আয় করতে পারবেন ।
৪। ইমেইল লিস্ট বিল্ডিং করে আয় ।

ক্লাইয়িন্ট এর জন্য বিভিন্ন niches এর উপর ইমেইল লিষ্ট তৈরী করে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি মাসে গড়ে ১০০-৩০০ ডলার আয় করতে পারবেন ।  এছাড়া, ক্লাইয়িন্ট এর ইমেইল লিষ্ট তৈরী করে দেওয়ার সাথে সাথে দিন দিন নিজের পন্য বা সেবার বিক্রয়ের বা এফিলিয়েশনের জন্য বিশাল ইমেইল লিষ্ট তৈরী হতে থাকে । বলতে গেলে এক ঢিলে দুই পাখি ।

৫। অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়।

অ্যাফিলিইয়েট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান clickbank, clicksure ইত্যাদিতে জড়িত হয়ে তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন ।  অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়ের পরিমান হিসেব করে বলা কষ্টসাধ্য। অ্যাফিলিয়েশন করে মাসে আয় করা যায় ৫০০ ডলার – আনলিমিটেড।
উপরের ৫টি কর্মক্ষেত্রে আপনি কাজ করতে পারবেন, শুধুমাত্র  “ইমেইল মার্কেটিং” ভালভাবে জানা থাকলে । এখানে শুধুমাত্র প্রধান ৫টি কর্মক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারবেন ইমেইল মার্কেটিং জানা থাকলে। সুতরাং ইমেইল মার্কেটিং ভালভাবে শিখুন, যাতে করে আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার অনেক উজ্জ্বল হবে।
“ইমেইল মার্কেটিং” শিখতে বা এই সম্পর্কিত অন্য আরো কিছু জানার জন্য ফেসবুকগ্রুপে এসে প্রশ্ন করলে খুব সহজে উত্তর পেতে পারবেন।
ফেসবুকে আমি

-** জরুরী হক কথা - মানুষ মরনশীল। সত্যিই কি আমাদের দুনিয়ার এ জীবন ক্ষনস্থায়ী, অনন্ত অসীম পরকাল/আখেরাতের কামিয়াবী/সাফল্যের জন্য নিয়মিত সালাত আদায় করি ও সকলকে কালিমার/ইসলামের দাওয়াত দেই, নিজে পরিপূর্ন মুসলিম হই। আল্লাহ আমাদের খাঁটি মুমিন হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

 সূত্র - টেকটিউনস।

অনলাইন ইনকাম নাকি - একশ্রেণীর লাভজনক প্রচারনা

অনলাইন ইনকাম নাকি- একশ্রেণীর লাভজনক প্রচারনা

 অনলাইন ইনকাম এখন অতি পরিচিত একটি শব্দ। আমরা সবাই এই কথার সাথে পরিচিত।
কিন্তু আসলে অনলাইন ইনকাম এখন সোনার হরিন। 
INTERNATIONAL MARKETPLACE (ODESK , ELANCE  , FREELANCER ETC AND MANY OTHERS)  গুলোতে  কাজ করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন এরকম চটকদার আ্যাড আমরা দেখতে পাই। এতে হাজার বেকার  যুবক  ছাত্ররা ভতি হচ্ছে। মাঝখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে লাভবান হচ্ছে অনলাইন ইনকাম শেখানো কোচিং সেন্টারগুলো।
ছাত্রদের অনলাইন ইনকাম এর কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। এতে তারা দুকূল  হারাবে। বেকার  ভাইদের বলছি আপনারা অনলাইনে আয় করতে চাইলে  SEO , GRAPHICS এগুলো শিখে  অনলাইন ইনকাম কোচিং সেন্টার খুলুন। ১০০গ্যারান্টি আপনার ইনকাম হবে। কিন্তু INTERNATIONAL MARKETPLACE (ODESK , ELANCE  , FREELANCER ETC AND MANY OTHERS)   কাজ করে আয় করবেন এই বোকামি করবেননা। একমাস কোচিং সেন্টার থেকে যা আয় করবেন 05 YEARS FREELANCING  করে তা পারবেননা।   মাঝখান থেকে অনলাইন আয়ের খোয়াব দেখা হবে সার। তাই ছাত্ররা ভালো করে পড়াশুনাটা করো , অযথা সুন্দর FUTURE  টা ONLINE EARNINGS , ACTOR , PLAYER এসব স্বপ্ন দেখে নষ্ট করোনা। নাটক , MEDIA , ONLINE EARNINGS এগুলো 100 তে একজন  পায়না।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল, ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে, প্রথমে নিজে দৃঢ় হন, সিদ্ধান্ত নিন, যে কোন এক বিষয়ে দ্ক্ষ হউন। বর্তমানে ই মেইল মার্কেটিং, অ্যালিফেটিং মার্কেটিং  হট ট্রেড খুব সহজেই সহজেই নেট থেকে ফ্রি বাংলা ইংলিশ টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে শিখতে পারেন। আবার যে কোন সিডি দোকান থেকে এ বিষয় টিউটোরিয়াল কিনেও সহজেই শিখতে পারেন। 
আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ  হল, রেগুলার 1 সপ্তাহ নিম্মলিখিত সাইটগুলি ভিজিট করুন। 

http://it-bari.com/

genesisblogs.com/

rrfoundation.net/

http://www.techtunes.com.bd

http://www.bangla-tutor.blogspot.com


নিজকে তখন খুব সহজেই দক্ষ হয়ে নিজে আয় করতে পারবেন। অযথা পয়সা নষ্ট করে কোন লাভ হবে না। 
ঠিন ও রুড় সত্যি হল, উপরোক্ত পরামর্শ  মেনে চললে ঐ সব তথাকথিত কোচিং সেন্টার থেকে ভাল শিখতে পারবেন। 
পরিশেষে আবারও পরামর্শ  হল,   উপরোক্ত পদ্ধতি কম হলেও - ১ সপ্তাহ থেকে ১ মাস মেনে উপরোক্ত সাইট গুলি ভিজিট করুন। ফলাফল হাতে হাতে পাবেন।
-- আমাদের এ দুনিয়া জীবন ক্ষনস্থায়ী, অনন্ত আখেরাতের সাফল্যের জন্য নিয়মিত সালাত আদায় করি ও সকলকে ইসলামের দাওয়াত দেই, নিজে পরিপূর্ন মুসলিম হই। আল্লাহ আমাদের মুমিন হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

-** জরুরী হক কথা - মানুষ মরনশীল। সত্যিই কি আমাদের দুনিয়ার এ জীবন ক্ষনস্থায়ী, অনন্ত অসীম পরকাল/আখেরাতের কামিয়াবী/সাফল্যের জন্য নিয়মিত সালাত আদায় করি ও সকলকে কালিমার/ইসলামের দাওয়াত দেই, নিজে পরিপূর্ন মুসলিম হই। আল্লাহ আমাদের খাঁটি মুমিন হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

Source – Techtunes

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নির্দেশনা

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নির্দেশনা রাফি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত: ১ যেভাবে শুরু

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত:  ১  যেভাবে শুরু


বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার শফিউল আলম কাজ করছেন
ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এই ক্ষেত্রটিতে আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। পাঠকদের কাছে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত। আজকে রইলো এর প্রতিবেদনটির প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দ দুটি বাংলাদেশে অনেকের কাছেই পরিচিত। দেশের প্রচুর ওয়েবসাইট ডেভেলপার, গ্রাফিকস ডিজাইনার, রাইটার, মার্কেটার বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফলতার সাথে কাজ করছেন, আবার অনেকেই নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। নতুনদের কাছে যে বিষয়টা প্রায়ই শোনা যায় তা হলো এই পেশায় সহজে সাফল্য পাওয়া যায় না। বিষয়টা কিছুটা হলেও সত্যি। যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের এবং ইংরেজি মাধ্যমে যোগাযোগের দক্ষতা না থাকলে আসলে এই পেশায় সাফল্য পাওয়া কঠিন। অবশ্য শুধু এই দুইটি যোগ্যতা থাকলেই যে সাফল্যের চূড়ায় যাওয়া যাবে, তাও ঠিক নয়। সাময়িক সাফল্য পাওয়া এবং নিজেকে একটি পেশায় প্রতিষ্ঠিত করা এক কথা নয়। যদি লম্বা ভবিষ্যত্ ঠিক করে এই পেশায় এগিয়ে যেতে চান তাহলে নিজেকে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ হিসেবে তৈরি করতে হবে, যাতে শুধু কাজের দক্ষতা নয়, অন্যান্য সব দিক দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের একজন পেশাজীবী হিসেবে তৈরি করা যায়।
আউটসোর্সিং বিষয়টি কী?ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিং সাইটে যিনি কাজ করেন তাঁকে বলে কনট্রাক্টর (তিনি কনট্রাক্টে কাজ করেন)। আর যিনি কাজ দেন তাঁকে বলে বায়ার/ক্লায়েন্ট (তিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন)।
যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়আউটসোর্সিং সাইটের কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব 
 ডেভেলপমেন্ট (Web Development), সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (Software
Development), নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (Networking & Information Systems), লেখা ও অনুবাদ (Writing & Translation), প্রশাসনিক সহায়তা (Administrative Support), ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া (Design & Multimedia), গ্রাহকসেবা (Customer Service), বিক্রয় ও বিপণন (Sales & Marketing), ব্যবসা-সেবা (Business Services) ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঅনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছেএই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টএই বিভাগের মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপিস্নকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফ্টওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেএর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ (ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপিস্নমেনটেশন ইত্যাদি।
রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
এর মধ্যে আছে টেকনিক্যাল রাইটিং,  ওয়েবসাইট কনটেন্ট, বস্নগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
এর মধ্যে আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি (3D) মডেলিং, অটোক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনিক্যাল ডিজাইন ইত্যাদি।
কাস্টমার সার্ভিস
এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি।
সেলস ও মার্কেটিং
এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), পিআর (পাবলিক রিলেশনস), টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভে, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি।
বিজনেস সার্ভিসেস
এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইন্যানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড পস্ন্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসালটিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি।
কোন কাজের কী যোগ্যতা
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে সফ্টওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন জাভা, সি-শার্প, ভিজুয়্যাল বেসিক, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল, ওরাকল, এমএস এসকিউএল সার্ভার) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ল্যাঙ্গুয়েজগুলোর ওপরও এক-দুইটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম
এই বিভাগের কাজের জন্য ডেটাবেজ, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
অনলাইনে কাজের জন্য চাই দক্ষতালেখা ও অনুবাদ (রাইটিং ও ট্রান্সলেশন)এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্টএই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, বস্নগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার) ইত্যাদি সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়াএই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ফ্লাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়। অডিও, ভিডিও এডিটিংয়ের ওপরও অনেক কাজ পাওয়া যায়।
কাস্টমার সার্ভিসএই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা এবং বলা দুটোতেই দক্ষ হতে হবে।
সেলস ও মার্কেটিং
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার), মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
বিজনেস সার্ভিসেস
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
কাজ পাবেন যেখানে
আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার অনেক ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করা ভালো। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা হলো-
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্স ও ওডেস্ক এখন একসঙ্গেই কাজ করছেবর্তমানে ৪-৫টি আন্ত্মর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রতিটিতেই একটি বিষয় কমন থাকে আর সেটা হলো একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। সাধারণ কাজে যেমন সিভি দেখে চাকরি দেয়া না দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ হয় তেমনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও আপনার প্রোফাইল দেখেই ক্লায়েন্ট বিবেচনা করবে আপনি কাজ পাওয়ার যোগ্য কি না। এর জন্য প্রোফাইলকে যতটুকু সম্ভব আকর্ষণীয় করে তৈরি করুন। প্রোফাইলে যেগুলো না থাকলেই নয়-
হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স.কমে ফ্রিতেই প্রচুর স্কিল টেস্ট দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবে যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হোন না কেন সেই স্কিলে আপনার যথেষ্ট তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে।
পোর্টফলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবে যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে।
বিষয়টি অনেকটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মতো। একদম খালি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে যেমন কেউ আপনাকে সহজে অ্যাড করবে না, ঠিক তেমনি একদম খালি, অনাকর্ষণীয় একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে 
*    পরবর্তি  পর্ব  দেখুন -     ফ্রীল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত-২
*   ঘরে বসে আয় দেখুন -  এখানে 

-** জরুরী হক কথা - মানুষ মরনশীল। সত্যিই কি আমাদের দুনিয়ার এ জীবন ক্ষনস্থায়ী, অনন্ত অসীম পরকাল/আখেরাতের কামিয়াবী/সাফল্যের জন্য নিয়মিত সালাত আদায় করি ও সকলকে কালিমার/ইসলামের দাওয়াত দেই, নিজে পরিপূর্ন মুসলিম হই। আল্লাহ আমাদের খাঁটি মুমিন হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

সূত্র- মো. আমিনুর রহমান , দৈনিক প্রথম আলো

ঘরে বসে আয়

ঘরে বসে আয়


ঘরে বসে আয়


ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই কাজ করে আয় করা যায়। অনেকে এভাবে কাজ করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। তবে কাজে দক্ষতা না থাকলে এ স্বপ্ন দেখা ঠিক নয়। নতুন অনেকেরই এই ক্ষেত্রটিতে আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করা যায়। পাঠকদের জন্য ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই এ বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত সিরিজটির আজ শেষ পর্ব।

প্রথম পর্বফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত (পর্ব-১) 

দ্বিতীয় পর্ব: ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত (পর্ব-২) 

সহজে কাজ পেতে

১. কেউ কেউ আছেন, যারা ৪-৫টা জবে আবেদন করেই জব (কাজ) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন ১০০টা জবের জন্য আবেদন করেও তা পান না। এটা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা, আপনার অভিজ্ঞতা ও আপনার কাজের পারিশ্রমিক চাওয়ার ওপর। আপনি যদি কাজে দক্ষ হন এবং যদি কাজের মাধ্যমে বায়ারকে সন্তুষ্ট করতে পারেন তবে আপনি সফল হবেনই। আপনার ইংরেজির দক্ষতা এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো ফল দিতে পারে। বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি যদি আরও কয়েকটি ভাষা শিখে ফেলতে পারেন তবে তা আপনার কাজের জন্য বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। অনলাইন বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করেই এখন আপনি ভাষা শেখার চেষ্টা করতে পারেন। যাঁদের ইংরেজি দুর্বল তারা চর্চা বাড়াতে পারেন।
২. যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে হায়ার করতে হলে বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড থাকতে হয়।
৩. কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত হতে হবে। আপনি অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে ব্লগ লিখতে পারেন। নিজের পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এক সময় আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে না; বরং বায়াররাই আপনাকে খুঁজে ফিরবে।
৪. কাজ পাবার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। বেশি সময় অনলাইনে থাকতে হবে। বায়ারের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ ভালো হতে হবে। আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তবে নিজেকে সচেতন থাকতে হবে এবং নিজের কাজের দাম নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে।
৫.যেসব জবে শর্ত দেওয়া আছে এবং সেই শর্ত যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন তাহলে সেসব জবে আবেদন না করাই ভালো। যেমন, Feedback Score: At least 4.00 এবং oDesk Hours: At least 100 hour অর্থাত্ যাঁদের ফিডব্যাক স্কোর কমপক্ষে ৪.০০ এবং যাঁরা অন্তত ১০০ ঘণ্টা কাজ করেছেন, তারা এই জবে আবেদন করতে পারবেন।
৬.যাঁরা ওডেস্কে ২-৩টা জব (কাজ) করেছেন, এখন বেশি ডলার রেটে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে জবটিতে আবেদন করবেন সে জবের নিচে দেখুন বায়ারের আগের জবগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন বায়ার তাঁর আগের জবগুলোতে বেশি ডলার রেট দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ করিয়েছেন, তাহলে বেশি ডলার রেটে আবেদন করতে পারেন। আর যেসব বায়ার আগের জবগুলোতে বেশি ডলার রেটে কাজ করায়নি, তাদের জবে বেশি ডলার রেটে আবেদন না করাই ভালো।
গুগল, গুগল এবং গুগল
গুগলকে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বানিয়ে ফেলুন। যেকোনো সফল ফ্রিল্যান্সারকে জিজ্ঞেস করলেই দেখবেন, প্রত্যেকেই বলবে তারা অনেক কিছু গুগল সার্চ করে জেনেছে। বিষয়টি আসলেই সত্যি। যদি কোথাও আটকে যান, তখন গুগল সার্চ করুন। অনলাইনে আপনার সহায়ক অনেক উপকরণ পাবেন।  প্রোফাইল তৈরি থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া পর্যন্ত সব কিছুই এখন অনলাইনে পাবেন।
সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে সক্রিয় থাকুন। লিংকডইনে তৈরি করুন পেশাদার প্রোফাইল। আপনি ইউটিউব থেকেও টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন। অবশ্য একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরুর আগে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা ও উন্নত কনফিগারেশনের কম্পিউটারও প্রয়োজন পড়বে।
নিজেকে সময় দিন
ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে অনেকেই দিন-রাত কিছুই মানেন না । ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে অনেকেই বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ পান না। এজন্য অনেকেই একা হয়ে পড়েন এবং অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করলেও নিজেকে কিছুটা সময় দিন। বই পড়ুন, বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। ঠিক সময়ে ঘুমান। প্রচুর পানি পান করুন। নিজের কাজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যান। শুধু অর্থ আয়ের পেছনে ছোটার চেয়ে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিন আগে। ফ্রিল্যান্সিং করে যাঁরা সফল হয়েছেন তাঁদের পরামর্শ হচ্ছে কাজ না শিখে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসবেন না।

-** জরুরী হক কথা - মানুষ মরনশীল। সত্যিই কি আমাদের দুনিয়ার এ জীবন ক্ষনস্থায়ী, অনন্ত অসীম পরকাল/আখেরাতের কামিয়াবী/সাফল্যের জন্য নিয়মিত সালাত আদায় করি ও সকলকে কালিমার/ইসলামের দাওয়াত দেই, নিজে পরিপূর্ন মুসলিম হই। আল্লাহ আমাদের খাঁটি মুমিন হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

সূত্র - মো. আমিনুর রহমান , প্রথম আলো।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত - ২

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত-২


আমিনুর রহমান অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে দুইটি বই লিখেছেন।


ফ্রিল্যান্সিং করে এদেশের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এ ক্ষেত্রটির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। পাঠকদের কাছে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত। আজকে রইল এর প্রতিবেদনটির দ্বিতীয় পর্ব।


প্রথম পর্ব পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত 


মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইলবর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। মার্কেটপ্লেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় করে তৈরি করা যায়। প্রোফাইলে তৈরির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে 
১. হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
২. স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স মার্কেটপ্লেসে প্রচুর স্কিল টেস্ট বিনা খরচেই দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবেন যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হন না কেন কাজে আপনার দক্ষতা রয়েছে।
৩. পোর্টফোলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফোলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবেন যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে। আকর্ষণহীন একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে না।
কোন ধরনের কাজের জন্য আবেদন করবেন?
কোনো একটা জব ওপেন করে জবের ডান পাশে দেখবেন বায়ারের তথ্য দেওয়া আছে। যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড নট ভেরিফাইড লেখা সেসব বায়ারের কাজের জন্য আবেদন করবেন না। পেমেন্ট মেথড ভেরিভাইড থাকলে তবে আবেদন করবেন।
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইলক্লায়েন্টের কাছে কাজের জন্য আবেদন করাযখন কোনো কাজে/জবে আবেদন করবেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার লেখার ধরন প্রফেশনাল হয়। কখনোই কপি-পেস্ট করে আবেদন পাঠাবেন না। এটা করলে কাজ পাওয়া দুরূহ তো হবেই বরং অনেক ক্লায়েন্ট আপনার লেটার স্প্যাম হিসেবে মার্ক করলে মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্টটি হারাতে পারেন। যেটা করা উচিত সেটা হলো প্রতিটি জব ভালোভাবে পড়ে তারপর চিন্তা করে গুছিয়ে একটি লেটার লিখে পাঠানো। এ ক্ষেত্রে আপনি একটি ফরম্যাট ফলো করতে পারেন, যেমন:
Hello, Good Day, Good Morning অথবা Evening, ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। Dear Sir/Madam, Dear Manager, ইত্যাদি দিয়ে শুরু না করাই ভালো।
তারপর এক লাইনে আপনি তার কাজের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন, এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি তার জবটি পড়েছেন। তারপর ২-৩টি লাইন লিখুন আপনার কোন দক্ষতা তার প্রজেক্টে কাজে আসবে এবং কেন।র ৪-৫টি বুলেট পয়েন্ট করে লিখুন আপনি তার কাজটি পেলে কী কী ধাপে করবেন।
আপনি কোন ফাইল এটাচ (যুক্ত) করে থাকলে উল্লেখ করুন। সর্বশেষে ধন্যবাদ দিয়ে আপনার লেটার শেষ করুন।
এভাবে একটি ফরম্যাট ফলো করলে দেখবেন কখনই কপি-পেস্ট করতে হবে না। তবে হ্যাঁ, দুটি ব্যাপার কখনই করবেন না। একটা হলো লেটারে নিজের ই-মেইল অথবা যোগাযোগের কোনো আইডি উল্লেখ করবেন না এবং কখনই আপনাকে যেন কাজটি দেয় এটা নিয়ে জোর করবেন না। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে পেশাদার নাও ভাবতে পারে। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের পারিশ্রমিক চাইবেন।
সাক্ষাত্কার
চাকরির বিজ্ঞাপন পড়ে আমরা কী করি? আমরা সেই বিজ্ঞাপন পড়ে ভালো লাগলে সেই চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠাই।  আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো জব পোস্ট করা হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে বায়ার কয়েকজনকে সাক্ষাত্কারের জন্য বলেন।  তারপর একজন বা দুইজনকে নিয়োগ (হায়ার) দেয় মানে কাজটি করতে দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকেই বলে বিডিং বা বিড করে কাজ পাওয়া।  বায়ার আপনার কভার লেটার এবং প্রোফাইল দেখে পছন্দ করলে আপনাকে মেসেজ দিয়ে ইন্টারভিউ নেবে। আপনিও মেসেজ দিয়ে উত্তর দেবেন। আপনাকে ওই আউটসোর্সিং সাইটেই মেসেজ দেবে যে আপনি আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ওই সাইটেই মেসেজ দিয়ে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপের মাধ্যমে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপে (www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট খুলে নেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার কাজটি করতে দেবে মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার (Hire) করবে। জবটি অ্যাকটিভ হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে Your contract Job Name started. তারপর কাজ শুরু করবেন। 
একটি কাজের বর্ণনাকীভাবে কাজ করবেন?
আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে দুই ধরনের জব আছে। জব আছে দুই ধরনের। আওয়ারলি এবং ফিক্সড প্রাইস। আওয়ারলি জবগুলো আপনার ইচ্ছেমতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো দেখে আপনাকে পেমেন্ট দেবেন। আর আওয়ারলি জবের ক্ষেত্রে টাইম ট্র্যাকার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নেবেন । এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার পর ওপেন করে সাইন-ইন করে যে জবটি করতে চান সেটি নির্বাচন করে Start বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। ঘণ্টায় ৬টির মত। সময় গণনার সাথে সাথে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার ওই স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে Buyer Name ended your contract Job Name. তখন বায়ার আপনাকে একটি ফিডব্যাক দেবেন এবং আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। সর্বোচ্চ ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে মার্ক দেবেন এবং বায়ার আপনাকে তা দেবেন। কেউ কারোরটা আগে দেখতে পাবেন না। দুই জনে (কনট্রাক্টর এবং বায়ার) ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অন্য জনেরটা দেখতে পাবেন। কেউ একজন ফিডব্যাক না দিলে বা উভয়েই না দিলে ১৪ দিন পর একজন অন্যজনের ফিডব্যাক দেখতে পাবেন। ১৪ দিন পার হয়ে গেলে আর ফিডব্যাক দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আপনি বায়ারের সাথে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন আপনার সাথে বায়ারের সম্পর্ক কেমন এবং বায়ার আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন।  ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে ভালো কাজ পেতে সমস্যা হয়। তবে আপনি ইচ্ছা করলে ওই বাজে ফিডব্যাক মুছে ফেলতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেনডিং (Pending)-এ থেকে তারপর আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
অর্থ তোলার পদ্ধতি
অনেক কাজ করেছেন। আপনার অ্যাকাউন্টে অনেক ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে আনবেন কীভাবে? অর্থ উত্তোলনের অনেকগুলো পেমেন্ট মেথড বা উপায় আছে। আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো অয়্যার ট্রান্সফার (Wire Transfer)।
অয়্যার ট্রান্সফার পদ্ধতি
অয়্যার ট্রান্সফার হলো অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে ডলার ট্রান্সফার করা। এর জন্য বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড পদ্ধতি
অর্থ উত্তোলন করার আরেকটি সহজ পদ্ধতি হলো PAYONEER DEBIT CARD। তবে এটি একটু ব্যয়বহুল।

-- আমাদের এ দুনিয়া জীবন ক্ষনস্থায়ী, অনন্ত আখেরাতের সাফল্যের জন্য নিয়মিত সালাত আদায় করি ও সকলকে ইসলামের দাওয়াত দেই, নিজে পরিপূর্ন মুসলিম হই। আল্লাহ আমাদের মুমিন হিসাবে কবুল করুন। আমিন।

সূত্র - আমিনুর রহমান, প্রথমআলো।          আরও পড়ুন -  ঘরে বসে আয়